সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হয়। সেই মঞ্চেই রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃত করে তার ইংরাজি তর্জমা করলেন। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় , ‘মহিলারা সম্মানিত হলে, দেবতারা আনন্দিত হন।’
রাজ্যপাল তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন না। তিনি পাচ্ছেন তাঁর সাহিত্য, কবিতা, ছবির জন্য।’ সেইসঙ্গেই রাজ্যপাল উল্লেখ করেন দেশবিদেশের রাজনীতিকদের কথা, যাঁরা রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছিলেন।
সেই তালিকায় চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, এদেশে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, অটলবিহারি বাজপেয়ীর নাম উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। মমতাকে এদিন তিনি তাঁর সাংবিধানিক বন্ধু বলেও সম্বোধন করেন রাজ্যপাল।
গত নভেম্বরেই সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি ঘোষণা করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারা সাম্মানিক ডি লিট ডিগ্রি দেবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সম্মান গ্রহণ করার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘এই সম্মান আমি বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করলাম।’ সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করেন, মাদার টেরেসাকে সম্মান জানাতে একটি চেয়ার রাখা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে।