ঝাড়খণ্ডকে সহজেই হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির শেষ চারের টিকিট পাকা করে ফেলল বাংলা। প্রসঙ্গত, সেমিফাইনালে প্রথম দিন থেকেই কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। ইডেনের চেনা মাঠে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ। পেস সহায়ক উইকেটে শুরু থেকেই ঝাড়খণ্ডকে চাপে ফেলেন আকাশ দীপরা। ঝাড়খণ্ড দলে সৌরভ তিওয়ারি না থাকায় সমস্যায় পড়েছিল তারা। ম্যাচের দিন সকালে চোট পান সৌরভ। তাঁকে বাদ দিয়েই দল নামাতে বাধ্য হন অধিনায়ক বিরাট সিংহ। অন্যদিকে বাংলা দলে ফিরেছিলেন মুকেশ কুমার, শাহবাজ আহমেদ। ফলত শুরু থেকেই মনোজদের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, উড়িষ্যার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইডেনে হেরে গিয়েছিল বাংলা। পিচ বিতর্কের জেরে সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই বাংলার ক্রিকেটাররা কিছুটা মুষড়ে পড়েছিলেন। যার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচেও। সেমিতে দেখা গেল অন্য বাংলাকে। ঝাড়খণ্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৭৩ রানে শেষ করে দিয়ে নিজেরা তুলল ৩২৮ রান। বল হাতে প্রথম ইনিংসে আকাশ নেন ৪ উইকেট। ওড়িশার বিরুদ্ধে চোট পাওয়ায় বল করতে পারেননি তিনি। ৩ উইকেট নেন মুকেশ। তাঁরাই শেষ করে দেন ঝাড়খণ্ডকে। বাংলার হয়ে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন (৭৭), সুদীপ ঘরামি (৬৮) এবং শাহবাজ় (৮১)। দ্বিতীয় ইনিংসে ঝাড়খণ্ড তোলে ২২১ রান। বাংলার সামনে মাত্র ৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে তারা। ৩ উইকেট নেন আকাশ ঘটক। মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা।