আজ ফের বীরভূম সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই ফের জনগণের ভিড়ে মিশে গেলেন তিনি। গ্রামের মাটির চায়ের দোকানে ঢুকে নিজের হাতে চা তৈরি করলেন। খোঁজ নিলেন দোকানমালিকের ঘরদোরেরও। শেষে মেটালেন বিল। এদিন আধিকারিক, নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়েই সোনাঝুরির একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান মমতা। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্য নেতামন্ত্রীরা। তরুণী চা বিক্রেতার পরিবেশনে সাহায্য করতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। জিজ্ঞাসা করেন, “তোমরা রেশন পাও? বাচ্চারা পড়াশোনা করতে যায়? তোমাদের ঘর কোথায়?” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের একে একে উত্তর দেন তরুণী। শেষে পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন মমতাকে। শুধু চা বিক্রেতা মহিলার সঙ্গেই নন, উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গেও একে একে কথা বলে তাঁদের বাড়িঘর, ছেলেমেয়ের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর চা খেয়ে জিজ্ঞাসা করেন, “কত হল? এই ওকে ১০০ কাপ চায়ের পয়সা দাও।” বলেন, “এই তোমার ঘর দেখাও! দেখি কোথায় থাকো!” তারপর নিজেই পর্দা সরিয়ে দেখে নেন কাঁচা বাড়ির ঘরদোর, খাবারের হাঁড়ি। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত ছিল এলাকার মানুষ। এদিনের সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। বাজেটকে ‘গরিব বিরোধী’ আখ্যাও দেন। মুখ খোলেন অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়েও। তিনি বলেন, বোলপুরের লালমাটির গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা।
