বিপাকে পড়লেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। সম্প্রতি কলেজিয়াম বিতর্কে কেন্দ্র এবং বিচারব্যবস্থার বিবাদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে কটাক্ষ করেছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হল বম্বে হাই কোর্টে। আইনজীবীদের একটি সংগঠন এই মামলা করেছে বলে জানা গিয়েছে। ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান আহমেদ আবিদির দাবি, দুই প্রাতিষ্ঠানিক প্রধানের বক্তব্যে জনসমক্ষে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদাহানি হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আরজি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও বয়ান দিচ্ছে কেন্দ্র। তাতে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৪ সালের বিচারব্যবস্থার নিয়োগ আইন প্রসঙ্গ তুলে ধনকর অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। কারণ সংসদের সিদ্ধান্তে মানুষের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়। ঘটনাচক্রে ধনকড় যখন এই কথাগুলি বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে বসে ছিলেন খোদ প্রধান বিচারপতি। এরপরই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এদিকে আইনমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক ঘনিয়েছিল। আসলে যখন কোনও আইনজীবী কিংবা বিচারককে হাই কোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করা হয়, সেই সময় তাঁদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেন গোয়েন্দারা। এই ধরনের রিপোর্টের কিছু অংশ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কলেজিয়ামকে। এই প্রসঙ্গে আইমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, ”ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলির গোপন কাজের রেকর্ড এভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হলে এরপর তারা এই ধরনের কাজ করার আগে ভাববেন।” যা নিয়েই ঘনীভূত হয়েছিল বিতর্ক।