পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোন পথে এগোবে কেষ্টহীন বীরভূম? কী হবে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি? এইবারের বীরভূম সফরে ইতিমধ্যে তার রূপরেখা সাজিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার লালমাটির এই জেলায় ‘উপহার’-এর ডালি সাজিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বীরভূমের এই মাটিতে জন্মেছি। এই মাটি আমার খুব চেনা মাটি। এই লালমাটি আমার প্রিয় মাটি। বীরভূমে অনেক কিছু আছে। সতীপীঠ থেকে শুরু করে অনেক কিছু আছে। আজও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিলান্যাস হল। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর যে সেতু করা হয়েছে তার নাম তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় সেতু। নলহাটিতে যে সেতু হল তাকে আমি মা নলহাটেশ্বরী সেতু নাম দিলাম’।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘অনেক কাজ করা হল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর কতগুলো আমরা বিশেষ করে লালমাটির দেশ আমার প্রিয়। এখানে মা কালির অধিষ্ঠান। তারাপীঠের উন্নতি আমরা করেছি। কঙ্কালীতলার উন্নতি আমরা করেছি। অনেক কাজ করা হয়েছে। অনেক কাজ করা হবে। বীরভূম জেলার ৪৫ হাজার মানুষের হাতে কোনও না কোনও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কান্দি মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রকে বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এই মাস্টার প্ল্যান হলে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলার জন্য ভালো হবে। আগামী দিনে আপনারা অনেক কিছু পাবেন। রাজ্যে মোট দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ৬ কোটি ৮২ লক্ষ পরিষেবা পেয়ে গেছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি বীরভূম জেলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক গর্ব। বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ও আমরা করে দিয়েছি। বীরভূম জেলায় কোনও কোনও না মানুষ বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত।’