এবার মার্কিন মুলুকে ফিরল জর্জ ফ্লয়েড হত্যার স্মৃতি। আমেরিকায় টেনেসি প্রদেশের মেমফিসে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাঁচজন প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ২৯ বছর বয়সি টায়ার নিকোলাসকে ৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের তিনদিন পর তিনি মারা যান। প্রাক্তন পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা তাদারিয়াস বেন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র, এমিট মার্টিন তৃতীয় ও জাস্টিন স্মিথ। হেফাজতে রাখা হয়েছে এঁদের।
যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিকোলাস মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তত তিনবার ‘মা গো!’ বলে কাতরে উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মুখে লাথি ও ঘুষি পড়া বন্ধ হয়নি। গত ১০ জানুয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নিকোলাসের। সবচেয়ে দীর্ঘ যে চারটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, কীরকম অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে নিকোলাসের উপরে।
ফ্লয়েডের মতোই তাঁরও ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন এক অফিসার। সেই অবস্থায় অন্য একজন লাগাতার লাথি মেরে যাচ্ছেন। মার খাওয়ার সময় নিকোলাসকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘আমি কিছু করিনি। আপনারা এমন করতে পারেন না।’ প্রবল মারধরে নিকোলাসকে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে একজন এসে তাঁকে তুলে বসিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে হেলান দিয়ে। তাঁর মাথা ঝুঁকে পড়ছিল। অফিসারদের বুকে বসানো ক্যামেরা থেকেও অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে নির্যাতনের ছবি ফুটে উঠেছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। বইছে তীব্র নিন্দার ঝড়।