ফের নৃশংস ধর্ষণের সাক্ষী রইল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। এক ১১ বছরের কিশোরীকে সাতমাস ধরে লাগাতার গণধর্ষণ করা হয়েছিল। যার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। সন্তানের জন্ম দিতেও বাধ্য হয়। গাজিয়াবাদের এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দোষী দুই ভাই প্রদীপ কুমার (২১) ও দিলীপ কুমারের (১৯) সাজা ঘোষণা করে আদালত। নির্যাতিতার বাড়িতে ভাড়া থাকত তারা। অভিযোগ, গত বছর ১৫ই জানুয়ারি থেকে ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন শুরু করে দু’জন। প্রথমে ভয়ে গোটা বিষয়টা মুখ বুজে সহ্য করেছিল কিশোরী। আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত নিজেদের যৌন চাহিদা পূরণ করতে থাকে দুই ভাই। শেষমেশ সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন কিশোরীর মা। তদন্তের পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭শে সেপ্টেম্বর চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
পাশাপাশি, পুলিশের তরফে জানানো হয় যে মেয়েকে দেখে সন্দেহ জেগেছিল মায়ের। শারীরিক পরীক্ষার পর তিনি জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানান তিনি। মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় ১১ বছরের কিশোরীর। সেখানেই জানা যায়, ৩৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। তাই আর গর্ভপাত সম্ভব নয়। পকসো আইনে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। যার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রদীপ ও দিলীপকে। আদালতে মামলাটি চলাকালীনই পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার সদ্যোজাতর দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শিশুসুরক্ষা কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১০৫ দিন ধরে মামলা চলার পর দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় পকসো আদালত। দোষীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। তবে পুরো ঘটনায় এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সেই কিশোরী। বারবার এহেন ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় প্রবল নিন্দার মুখে পড়েছে যোগীরাজ্যের প্রশাসনও।