বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দিল রেল। এর মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাথর ছোঁড়া নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার যেমন আর্জি জানিয়েছেন, তেমনই তাঁর বক্তব্য, ‘এটার সঙ্গেও আমরা রাজনীতি জড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবং বাংলাকে ছোট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।’
পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, পাথর ছোড়ার মতো ঘটনার কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ট্রেনটির সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও কোনওরকম সন্দহজনক বিষয় দেখতে পায়নি রেল পুলিশও। রেল পুলিশের তরফে তদন্তকারী থানা কামারকুণ্ডুর ওসি গোপাল গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সোমবার সকাল ৬.৩৩ মিনিট নাগাদ বন্দে ভারতের সি-৫ কামরার জানালার কাচে চিড় দেখা যায়। পাথর ছোড়ার অভিযোগ দায়ের করেন টিটিই। সংগৃহীত সিসিটিভির ফুটেজে এলাকা চিহ্নিত হয়েছে হুগলির দাদপুর থানার ঘতমপুর গ্রাম। ওই সময়ে লাইনের ধারের যে চিত্র সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, কেউ চাষ করছেন, কেউ প্রাতঃক্রিয়ায় ব্যস্ত, কেউ বা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ঘন কুয়াশায় ছবি অস্পষ্ট হলেও কাউকে পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়নি বলে তিনি জানান। এদিকে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোড়েশ্বর পাটিল বন্দে ভারতে সফর করে পাথর ছোড়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে, তাঁরাও এই দেশের নাগরিক। দেশের বিকাশে তাঁদেরও যোগদান করা উচিত।