খানিক বিষণ্ণতার আবহ পর্যটনপ্রেমীদের মনে। শীত এলেই পৌষ মেলার টানে অনেকেই ভিড় জমাতেন শান্তিনিকেতনে। কিন্তু প্রথা মেনে এবছরও হচ্ছে না সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তবে ছাতিমতলায় পৌষ উৎসবের আয়োজনটুকু করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৈদিক মন্ত্র পাঠ, রবীন্দ্রসংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় শুরু হল পৌষ উৎসব। পূর্বপল্লীর মাঠে বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পৌষমেলা এবার হবে না তা বেশ কয়েকদিন আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল। পৌষমেলা না হওয়ার পাশাপাশি পৌষ উৎসব নিয়েও শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৌষ উৎসবের আয়োজন হবে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পৌষ উৎসব আয়োজন করতে তাদের কোনও অসুবিধা নেই। তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলনের জেরে বন্ধ ছিল বুধবারের সাপ্তাহিক উপাসনা। সেই বন্ধ উপাসনা গৃহ খুলল শুক্রবার। আজ ৭ পৌষ শুক্রবার, গৌর প্রাঙ্গণে ভোর সাড়ে ৫ টায় শুরু হয় বৈতালিক। শান্তিনিকেতন গৃহে সকাল ৬ টায় সম্পন্ন হল সানাই। সকাল সাড়ে ৭টায় ছাতিমতলায় আয়োজিত হল উপাসনা।
পাশাপাশি, আজ থেকেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে শান্তিনিকেতনের আদলে শুরু হচ্ছে পৌষ মেলার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈতালিক ও রাত্রে সানাই বাদনের মধ্য দিয়ে সূচনা করা হয় বোলপুর-শান্তিনিকেতন পৌষমেলার। প্রথমে করোনা পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে বন্ধ পৌষমেলা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে দু’বছর ধরে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে শান্তিনিকেতনের আদলে আয়োজন করা হয়েছে বিকল্প পৌষমেলার। মূলত ব্যবসায়িক সংগঠনের উদ্দেশেই এই আয়োজন। লোকসংস্কৃতি ও হস্তশিল্পের ১৫০০টির বেশি স্টল নিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেন, প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর প্রমুখ।