গুজরাতে বিপুল জয়, হিমাচলে ভরাডুবি। অল্পদিনের ব্যবধানে হওয়া দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপরীত ফলের পর্যালোচনা রিপোর্ট বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার ও দলকে চিন্তায় ফেলেছে। বিজেপির দলীয় মূল্যায়ন হল, গুজরাতে অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী-সহ গোটা মন্ত্রিসভা বদলে দেওয়া। এমনকী দলের রাজ্য সভাপতির চেয়ারেও নতুন মুখ নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও সিদ্ধান্ত সবটাই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের।
অন্যদিকে, হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী বদল করলেও বাকি মন্ত্রিসভা অপরিবর্তিত রাখেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। ফলে আগের মন্ত্রীরা নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব মেনে নেয়নি।
একই দশা কর্নাটকে। সেখানে বিএস ইয়েদুরাপ্পার জায়গায় বাসবরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও দল ও সরকারের হাল ফেরেনি। বাসবরাজের ব্যক্তিত্বের ঘাটতি, নেতৃত্বের অভাব তো আছেই, ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই বকলমে সরকার চালাচ্ছেন বলে প্রচার আছে। বিজেপি নেতৃত্ব একান্তে মানছে কর্নাটক প্রশাসনে কার্যত নৈরাজ্য চলছে।
এই পরিস্থিতিতে সাফল্যের ‘গুজরাত মডেল’ বিজেপি শাসিত রাজ্যে আতঙ্ক এবং আগ্রহ দুই প্রতিক্রিয়াই তৈরি করেছে। মধ্যপ্রদেশে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সরানো এবং তাঁর মন্ত্রিসভায় আমূল বদল ঘটানো হতে পারে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, শুধু মধ্যপ্রদেশ কেন সব রাজ্যের জন্যই গুজরাত মডেল অনুসরণ করবে দল।