সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাখিল করা পূর্বশর্ত নয়। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজন সরকারি কর্মচারীকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। এবার একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার, বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের নেতৃত্বে বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনার সাংবিধানিক বেঞ্চ রায়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেছে, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগে সবসময় টাকার হাতবদল বা কথোপকথনের নমুনা নাই-ই থাকতে পারে। কিন্তু ঘুষ নেওয়া অর্থের উৎস সন্ধান শুরু করলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন হয় না। সব সময় দলিল-নথি সহ প্রমাণ দাখিল করতে হবে এমন নয়।
সাংবিধানিক বেঞ্চের বক্তব্য, ধরা যাক, একজন সরকারি কর্মচারী ঘুষ দাবি করেননি। কিন্তু ঘুষ নেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। তাহলে কি তাঁকে সৎ বলা যাবে! বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরোক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতেও দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিট দেওয়া যেতে পারে, যা আদালত গ্রাহ্য হবে। পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান রক্ষার স্বার্থে বলেছে, সব ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শীর্ষ আদালতের এই রায় দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রশাসনিক কর্তাদের হাত শক্ত করবে। অন্যদিকে, অসৎ সরকারি কর্মীরাও সতর্ক হবেন।