দিল্লী-পাঞ্জাবের পর গুজরাতকেই পাখির চোখ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, মোদী রাজ্যে দ্বিতীয় বার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে একপ্রকার নজরকাড়া পারফরম্যান্সই দিল তাঁর দল আপ। ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, ৫টিরও বেশি আসনে জিতে প্রথম বার গুজরাত বিধানসভায় খাতা খুলতে চলেছে তারা। পেতে চলেছে ১২ শতাংশেরও বেশি ভোট।
২০১৭ সালে গুজরাতের বিধানসভা ভোটে ২৯টি আসনে লড়েছিল আপ। সব ক’টিতেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। ভোট পেয়েছিল সাকুল্যে ২৯,৫০৯টি (০.১ শতাংশ)। পাটিগণিতের হিসাব বলছে, এ বার কেজরির দলের ভোট বেড়েছে ১২ শতাংশেরও বেশি। দিল্লী এবং পাঞ্জাব বিধানসভায় জয়ের পরে গুজরাতে এই ভোটপ্রাপ্তি আপকে জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোটের ফলাফলের আঁচ পেয়েই আপ নেতা তথা দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এবার আমরা জাতীয় দলের মর্যাদা পেলাম।’
সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতের পাশাপাশি, আমেদাবাদ-গান্ধীনগরের একাধিক আসনেও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আপ প্রার্থী। নর্মদা, গির-সোমনাথ, সুরেন্দ্রনগর, তাপি, অমরেলী, আরাবল্লি, পোরবন্দর, দাহোদ, দ্বারকার মতো জেলায় উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছেন আপ প্রার্থীরা। ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ বলছেন, আপের এই চমকপ্রদ উত্থানের কারণেই গুজরাতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস। ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ওই রাজ্যে ৪৪ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। এ বার তা নেমে এসেছে ২৬ শতাংশের কাছে। অন্য দিকে, বিজেপির ভোট ৪৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৩ শতাংশ পেরোতে চলেছে।