এবার ফের বিতর্কে মিঠুন চক্রবর্তী। আসানসোলের জেলা বিজেপি দফতরে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরোনোর সময় এক দল বাচ্চাকে দেখে ‘চল ভাগ’ বললেন ‘ফাটাকেষ্ট’। যা একপ্রকার ‘খেদিয়ে দেওয়ার’ সামিল। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শোরগোলও শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির আসানসোল জেলা অফিসে বিজেপির মণ্ডল প্রেসিডেন্ট, জেলা কমিটির সদস্য এবং আসানসোল পুর নিগমের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে আসেন মিঠুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। মিঠুন এসেছেন শুনে জেলা অফিসের বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল কিছু কচিকাঁচা। তাদের আবদার ছিল প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে হাত মেলানোর।
এ দিকে বৈঠকের পর পাণ্ডবেশ্বরে দলীয় জনসভার উদ্দেশে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল মিঠুনের। আসানসোলের বৈঠক শেষে মিঠুন দফতরের বাইরে আসতেই বাচ্চারা হইহই করে চিৎকার শুরু করে। কিন্তু মিঠুন তাদের পাত্তা দেননি। তিনি স্রেফ বলেন, ‘চল ভাগ!’ বাচ্চারা হতচকিত হয়ে সেখানেই থমকে যায়। মিঠুন তাদের সামনে দিয়ে সোজা গটগটিয়ে গাড়িতে উঠে যান। কালক্ষেপ না করে রওনা দেন পাণ্ডবেশ্বরের উদ্দেশে। ওই পুরো ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এখন খবর)। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
শিশুদের প্রতি মিঠুনের ওই ব্যবহার প্রসঙ্গে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণ বাচ্চাদের সঙ্গে হাত মেলাতে এবং স্পর্শ করতে যাদের রুচিতে বাধে, তারা রাজ্যবাসীর সেবা করবে কী ভাবে। মিঠুন চক্রবর্তী উচ্চমাপের অভিনেতা। এটাই হয়তো তাঁর কাজ। তিনি নিজের মতো করেই সেটা করেছেন।’ মিঠুনের ব্যবহারের নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের অন্য নেতারাও।