লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পর ছক কষে, ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করেছিলেন আফতাব পুণাওয়ালা। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহটাই হাপিস করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলে তাঁর দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসত অভিযুক্ত। এবার দিল্লীর আদালতে বিচারকের কাছে খুনের কথা বললেন আফতাব। তিনি বিচারককে জানান, ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’
ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলেছে পুলিশি তদন্ত। একের পর এক নয়া তথ্য প্রকাশ্যে আসছে পুলিশের সামনে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে শ্রদ্ধাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালাকে। সম্প্রতি দক্ষিণ দিল্লীর মেহরৌলীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। তবে, দেহের এই অংশগুলি শ্রদ্ধার কি না, তা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
সোমবার পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, দাঁতের সমস্যা থাকার কারণে এক দন্ত্য বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ তাঁর কাছে চোয়ালের একটি অংশের ছবি নিয়ে আসে। তা দেখে চিকিৎসক জানান, ‘রুট ক্যানেল’ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘সাধারণত দন্ত্য চিকিৎসকরা রোগীদের ‘ডেন্টাল রেকর্ড’ নিজেদের কাছে রাখেন। সেই পুরনো রেকর্ড দেখে শ্রদ্ধার দাঁতের অবস্থার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া গেলে এই তদন্ত শেষ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।’
পুলিশের দাবি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন আফতাব। যে দোকান থেকে তিনি এই যন্ত্রপাতিগুলি কিনেছিলেন, তদন্ত চলাকালীন আফতাবকে সেই দোকানেও নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, শ্রদ্ধা এবং আফতাব যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, তার থেকে প্রায় ৭ থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে ওই দোকানটি রয়েছে। দোকানের মালিক জানান, আফতাব হাতুড়ি, করাত, পেরেক-সহ আরও অনেক জিনিস দোকান থেকে কিনেছিলেন। তদন্ত চলাকালীন আফতাবকে দোকানে নিয়ে গেলে আফতাব জানান, ১৮ মে তিনি ওই দোকান থেকে জিনিস কেনেন।