মঙ্গলবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন। এই দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের একটি বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়। তারপরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি সাংসদের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতার গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন। এবার এই বিষয়ে এবার স্বয়ং আসরে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এ বিষয়ে মমতা বলেন, ‘অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা পেয়েছে, তুমি গ্রেফতার করেছ৷ আপনার নেতার দলিল পাওয়া যাচ্ছে অভিযুক্তর বাড়ি থেকে, তাঁকে কেন আইনত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।’
মঙ্গলবারই অভিষেক বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময় অর্পিতার নামে দলিল পাওয়া গিয়েছে। তাই অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছে। তা হলে তাঁর বাড়িতে কেন তল্লাশি চালানো হল না কেন?’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তল্লাশির সময় দিলীপ ঘোষের একটি বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই জমিটি দিলীপ শৌভিক মজুমদার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। বিজেপি সাংসদ নিজেও অবশ্য এই জমি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। বরং বুধবার তা আরও স্পষ্ট ভাবে স্বীকার করে নেন। যদিও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে বুধবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খোলায় বিষয়টি আলাদা মাত্রা পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও সরাসরি দিলীপ ঘোষের নাম নেননি মুখ্যমন্ত্রী।