সম্প্রতি দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা কাণ্ড নিয়ে। তাঁকে খুনের পর ছক কষে, ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করেছিলেন লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুণাওয়ালা। প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন তিনি। এরই মধ্যে এনার আরও একটি শিউরে ওঠার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এবার ঘটনাস্থল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের জবলপুর। সেখানে এক মহিলাকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে অভিজিৎ পাতিদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন!’
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম শিল্পা জারিয়া। বয়স পঁচিশ। জবলপুরের মেখলা রিসর্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে শিল্পার নলিকাটা দেহ। পর পর বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিযুক্ত। তার মধ্যে একটিতে তিনি বলছেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়।’ তার পরই কম্বলের নীচ থেকে শিল্পার নলিকাটা দেহটি দেখান। তার পরই আবার একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, ‘বাবু, আমাদের আবার দেখা হবে স্বর্গে।’ আরও একটি ভিডিয়োয় নিজের নাম প্রকাশ করে অভিজিৎ দাবি করে, সে পাটনার এক জন ব্যবসায়ী। তাঁর ব্যবসার সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে শিল্পার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিজিতের দাবি, সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জিতেন্দ্রর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিলেন শিল্পা। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তাই জবলপুরে এসে শিল্পাকে খুন করেছে সে। ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্র এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সুমিত পটেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, অভিজিতের খোঁজে চারটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে পাঠানো হয়েছে। জবলপুর পুলিশের এসএসপি প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর মেখলা রিসর্টে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল অভিজিৎ। রাতে একাই ছিল। পর দিন বিকালে এক মহিলা আসেন সেখানে। এক ঘণ্টা পর হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে অভিজিৎ বেরিয়ে যায়। ৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙে শিল্পার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।