কেরালায় রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ করল একটি অর্ডিন্যান্স। জারি করা রাজ্য সরকারের ওই অর্ডিন্যান্সের মূল বিষয় হল, রাজ্যপাল আর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকবেন না। ওই পদে বসানো হবে শিক্ষা জগতের কোন বিশিষ্টজনকে।
গত বুধবারই সিপিএম সরকার ঘোষণা করেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান যেভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের পথে হাঁটছেন তার অবসানে তাঁকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। শনিবার এইজন্য অর্ডিন্যান্স জারি করে তা রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রাজ্যপালের ডানা ছাঁটার এই উদ্যোগ ঘিরেও তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা। রাজ্যপাল খান অর্ডিন্যান্স জারির খবর শুনেই জানিয়ে দেন, তিনি এটিতে সই করবেন না। পাঠিয়ে দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্যপাল খান কেরল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর পছন্দের এক অফিসারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই। ওই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি তুলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দফতর হাইকোর্টে মামলা করে। আদালত রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলে রাজভবনের জবাব তলব করেছে।