দ্রুত পদক্ষেপ নিল শিলিগুড়ি পুরনিগম। এবার শহরে পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে তৎপর পুর কর্তৃপক্ষ। এই মেগা প্রজেক্ট অর্থাৎ দ্বিতীয় পানীয় জল প্রকল্পের জন্য শিলিগুড়ি পুরনিগম সমীক্ষা করবে। শিলিগুড়ি পুরনিগমে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, সেচ দফতর ও বন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মেয়র গৌতম দেব। বর্তমান সময়ে ফুলবাড়ি মহানন্দা নদী থেকে পর্যাপ্ত জল আসে না। মাত্র ৫৫ এমএলডি জল আসে শিলিগুড়িতে। তবে এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি জলের প্রয়োজন ৭৭এমএলডি। গজলডোবায় তৈরি করা হবে মেগা প্রজেক্ট।সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে নিয়ে আসা হবে জল ফুলবাড়িতে। এরপর সেখান থেকে শিলিগুড়িতে জল দেওয়া হবে। শিলিগুড়িতে দ্বিতীয় পানীয় জলপ্রকল্পের জন্য শিলিগুড়ি পুরনিগম সমীক্ষা করবে। টেন্ডারের মাধ্যমে বহুজাতিক সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হবে। পুরনিগমের বাস্তুকারদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র- পারিষদ দুলাল দত্ত শুক্রবার সকালেই গজলডোবায় এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে পুর এলাকার জন্য বিকল্প স্থায়ী গভীর কুয়ো তৈরির জন্য মিলেছে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত।
প্রসঙ্গত, আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মেয়র গৌতম দেব দাবি করেছেন।এই কাজ হলে পুরনিগমের জলের প্রতিদিন যে চাহিদা তা পূরণ হবে না ঠিকই, তবে বর্তমানে যে ৫৫ এমএলডি জল পাওয়া যায় তা পুরোপুরি পরিশ্রুত পাওয়া যাবে। মেয়র জানান, “বেশ কিছু জায়গায় ঘোলাজল মেলে। সাড়ে ছয় কোটির এই কাজ হলে ঘোলাজলের সমস্যা মিটে যাবে। আর দ্বিতীয় জলপ্রকল্পের জন্য সমীক্ষা শুরু হচ্ছে।” শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। যেখানে প্রতিদিন ৭৭ এমএলডি পানীয় জল শহরে দরকার, সেখানে মাত্র ৫৫ এমএলডি কোনওমতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই ৫৫ এমএলডি জল মিললেও কোথাও ঘোলাজলের সমস্যা রয়েছে আবার কোথাও জলের চাপ কম। তাই বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই কেন্দ্রের আপ্লুত-২ প্রকল্পের মাধ্যমে শিলিগুড়িতে দ্বিতীয় জলের প্ল্যান্ট তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরনিগমের বিগত বাম বোর্ডও বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিল। প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য ২০১৮ সালে সমীক্ষা করে রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর প্রায় সাড়ে চার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাই পুরোনো রিপোর্টের ওপর ভরসা না করে আনকোরা সমীক্ষার উপরেই আস্থা রাখছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড।