কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, মিছিল করেছে রাজ্যের শাসক দল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন্দ্রের এজেন্সি-রাজনীতির বিরুদ্ধে ফের প্রতিবাদে মুখর হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোলের সাংসদ উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, এনআইএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলেছেন, তার সঙ্গে তিনি একশো শতাংশ একমত। বলেন, আপনারা কেন্দ্রের ঘৃণ্য এজেন্সি-রাজনীতির প্রমাণ পেয়ে চলেছেন প্রতি মুহূর্তেই।
শুধু এনআইএ-ই নয় অন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিও কংগ্রেস, আপ ইত্যাদি অবিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলির পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। তার হাতেগরম প্রমাণ দিনকয়েক আগে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের জামিন। শত্রুঘ্ন বলেন, মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর হয় এই শিবসেনা নেতার। আদালত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য। তবে প্রধানমন্ত্রী জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন সেই নেত্রী, যিনি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা নিতে পারেন। মোদি নিজে ভয় পেয়েছেন বলেই বিভিন্নভাবে ওঁকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই সব থেকে বেশি ‘উইচ-হান্ট’ বা অকারণ হয়রানি করানোর হীন কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু ভুলে যাবেন না, ওঁর বিরুদ্ধে যত আগ্রাসন হবে, জনমত ততটাই শক্তিশালী হয়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। সুতরাং এজেন্সি-রাজনীতিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।