ফের শুরু হতে চলেছে সিএবির বার্ষিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। করোনা অতিমারীর কারণে দু’বছর তা বন্ধ ছিল। সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত তিন বছরের পরিপ্রেক্ষিতে এ বার পুরস্কার প্রাপকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ সাম্মানিক পুরস্কার দেওয়া হবে সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীকে। ২৯শে অক্টোবর এই অনুষ্ঠান। তিন পুরুষ এবং তিন মহিলা ক্রিকেটারকে জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মলহোত্র এবং উদয়ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের মধ্যে আছেন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মিঠু মুখোপাধ্যায়।
অন্যতম পুরস্কারপ্রাপক তথা বাংলার রঞ্জিজয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, ‘‘১৯৭৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর ইডেনে অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে আমার বাংলার হয়ে অভিষেক ঘটে।’’ সম্বরণ বলছিলেন, ‘‘এর আগে উড়িষ্যার বিরুদ্ধে আমি রিজার্ভ কিপার ছিলাম। রউরকেল্লা থেকে আগের দিন বাসে করে ফিরেছি। পরের দিন বাসে করে ধর্মতলায় নেমে ইডেনে আসছি। পিছন থেকে একটা ডাক শুনে দেখি, অম্বর রায়। আমার প্রথম রঞ্জি অধিনায়ক। স্কুটার চালিয়ে আসছিলেন। ডেকে স্কুটারে তুলে নিয়ে বললেন, তুই এই ম্যাচে খেলছিস।’’ সম্বরণের কাছে তাঁর ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ১৯৯০ সালে তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলার রঞ্জি জয়। এই পুরস্কার বাংলার প্রাক্তন উইকেটকিপার উৎসর্গ করতে চান তাঁর প্রয়াত মা এবং শিক্ষাগুরু কার্তিক বসুকে। কার্তিক বসু জীবনকৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন উদয়ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় (২০১৯-২০২০), সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় (২০২০-২১), অশোক মলহোত্র, মিঠু মুখোপাধ্যায় (২০২১-২০২২) ও ঝুলন গোস্বামী (বিশেষ সাম্মানিক পুরস্কার)। পর পর তিন বছরের জন্য অনুষ্টুপ মজুমদার এবং শাহবাজ আহমেদকে বর্ষসেরা কবর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।