গরু পাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আসানসোল জেলে রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)৷ এবার সেই কেষ্টর কাছেই তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতিকে পাঠাতে চান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপের বয়ান, ‘মালটা (অজিত মাইতি) জেলা পরিষদে চাকরি চাকরি দেওয়ার নাম করে কত টাকা নিয়েছে সে সব আমার কাছে আছে৷ দরকার হলে এবার ঢোকাব, কেষ্টর কাছে পাঠাব!’
স্বভাবতই, দিলীপবাবুর এমন প্রতিক্রিয়া নিয়ে জোর চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে৷ শাসকদলের তরফে অভিযোগ, সিবিআই, ইডিকে বিজেপি যে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে দিলীপবাবুর ‘বয়ান’ থেকেই তা স্পষ্ট৷ একই সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, তবে কি অনুব্রত সত্যিই ষড়যন্ত্রের ‘শিকার’?
ঘটনার সূত্রপাত, সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় এক ছাত্রের৷ ওই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘দেশের মধ্যে ১১ স্থান অর্জন করা মেধাবী ছাত্র কেন অবসাদে আত্মঘাতী হবেন? এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও বিজেপি নেতার ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ সঠিক তদন্ত হলেই তা স্পষ্ট হবে৷’’
এর জবাবে অজিত মাইতিকে ‘মাল’ বলে সম্বোধন করে ‘অনুব্রতের কাছে পাঠানো’র হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ৷ পাল্টা অজিত বলেন, ‘শেয়ালের যেমন হুক্কাহুয়া শব্দটা মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, দিলীপ ঘোষের অবস্থা তাই হয়েছে৷ সিংহের চামড়া গায়ে দিয়ে শেয়াল সিংহ সাজার চেষ্টা করেছিল৷ দিলীপকে তেমন বিজেপি কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পদ দিলেও ও নিজের নোংরা, অশ্লীল কালচার বারে বারে সামনে এনে প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাংলায় কু’কথার জনক উনি নিজেই৷’ তবে দু’তরফের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ‘জেলে পাঠানো’র হুঁশিয়ারি ঘিরে জোর চর্চ্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷