গভীর চক্রান্ত করছে বিজেপি। উত্তরের বেশ কিছু জেলা থেকে খবর আসছিল বেশ কিছু বিজেপি সাংসদ প্ররোচনামূলক কথা বলছিল। বাংলার কয়েকটি জেলা এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চান তারা। চক্রান্ত ব্যর্থ করতে হবে।অশান্ত পাহাড়, ডুয়ার্সকে শান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এক এবং অখণ্ড বাংলাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের।।মানুষের কাছে বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে হবে। বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সাংসদ কুণাল ঘোষ।
গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের চেষ্টার অভিযোগ তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নির্দিষ্ট ভাবে বলা মুশকিল। তবে যে রাজ্যগুলো বিজেপির নিয়ন্ত্রণে নেই, সেখানে এই ভাঙনের চেষ্টা করছে বিজেপি। এখানে দখল করার জায়গায় নেই তাই অন্যভাবে করার চেষ্টা চলছে। রাজ্যের মানুষ চাইছে অখণ্ড বাংলায় থাকতে। পাহাড় থেকে সাগর একটাই বাংলা। নির্বাচনী ইস্তেহারে ছিল না বাংলাকে ভাগ করা। তবু উত্তরের কিছু জেলায় প্ররোচনামূলক প্রচার চলছে। কিন্তু মানুষ বঙ্গভঙ্গ চান না। যদি কেউ বাংলার মায়ের কুলাঙ্গার সন্তান হয় তাহলে এরকম কথা বলবে। বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলির ন্যায্য যে বকেয়া আছে সেগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। কেন্দ্রকে প্রথম বলা উচিৎ বাংলার টাকা দাও। বাংলার কোষাগার শূন্য করে দিয়ে এসব কথা বলা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে’।
বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যারা পুরনো দিনের বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থক তাঁদের সঙ্গে নীতিগত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু যদি তারা দেখেন নতুন কেউ এসে দখল করে নিচ্ছে সব, তাহলে তারাই বা কী করবেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই যাঁদের লড়াই ছিল সে’ই যখন মাথায় বসছে তখন তারা কী করবেন’?
অন্যদিকে শিক্ষক নিয়োগ ও করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, ‘এসএসসি নিয়ে কোর্টকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। রাজ্য সরকার পুরোদস্তুর সদিচ্ছা দেখিয়েছে শিক্ষক নিয়োগে। যাঁরা বলছেন পুলিশি হামলা অথবা অনেকে বলছে কোর্টে যাব, তাঁরা যাচ্ছেন না কেন? যেখানে ২০০ দিনের বেশি ধর্না চলছে সেখানে পুলিশ তো তুলছে না? এখানে কেন তুলল? পার্থক্য বিবৃতি দিন। পুলিশ মাইকিং করেছে। পুলিশ কোথাও লাঠিচার্জ করেনি। অথচ ত্রিপুরায় ১০৩২৩ চাকরি প্রার্থীদের উপর পুলিশ লাঠি চালায়। যাদের যন্ত্রনা আছে কোর্টে কেন যাচ্ছেন না? বাকিরা যদি কোর্টে যায় ওনারা কেন যাচ্ছেন না? এটা কোনও হামলা ছিল না। বাম আমলে দেখেছি হামলা। বিজেপির পুলিশ ত্রিপুরায় হামলা করে’।