এবার কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে মুখ পুড়ল ডবল ইঞ্জিন শাসিত ত্রিপুরার। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইন্ডিয়ান ইকোনমির রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরায় সব থেকে বেশি বেকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মে থেকে অগস্টের মধ্যে ওই রাজ্যে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ শতাংশ। যেখানে জাতীয় স্তরে বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৬.৪৩ শতাংশ। এই রিপোর্ট যে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে, তা বলাই বাহুল্য।
রিপোর্ট অনুসারে, রাজস্থানে বেকারত্বের হার ২৩.৮ শতাংশ। জম্মু-কাশ্মীরে ২৩.২ শতাংশ। হরিয়ানায় বেকরত্বের হার ২২.৯ শতাংশ। সব থেকে কম বেকার ছত্তিশড়ে। ওই রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা মাত্র ০.১ শতাংশ। পরেই রয়েছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম। বেকরত্বের হার সেখানে ০.৪ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডে বেকারত্বের হার ০.৫ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, মেঘালয় এবং উড়িষ্যায় বেকারত্বের হার যথাক্রমে ০.৯ শতাংশ, ১.৬ শতাংশ, ২.৩ শতাংশ এবং ২.৯ শতাংশ।
খোদ কেন্দ্রের রিপোর্টে ত্রিপুরার এই দৈন্যদশার ছবি প্রকাশ্যে আসতে বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস-সহ সব অবিজেপি দল। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, বিজেপি সব কিছুই করছে মুখে-মুখে। খাতায় কলমে শূন্য। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে পদ্মশিবির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে ৫০ হাজার বেকারদের চাকরি। সাড়ে চার বছর কেটে গিয়েছে। চাকরি পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার যুবক-যুবতী। এর কারণ, সাড়ে চার বছর ধরে শাসকদল বিজেপি রাজ্যে কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগই তৈরি করেনি।