বৃষ্টির বেয়াদপি থেমেছে। নীল আকাশ যেন ক্যানভাস। শিশুর মতো খেলছে শরতের মেঘ। মা আসছেন। পুজো আসছে। চারদিকে খুশির ফল্গুস্রোত। চলছে আনন্দের সলতে পাকানো। হইহই করে মেতে ওঠার অপেক্ষা শুধু।
আজ চতুর্থী। ঢাকে কাঠি প্রায় পড়েই গেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। হাওড়ার মাকড়দহের পঞ্চাননতলা সর্বজনীনে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। করোনার ২ বছর কাটিয়ে উৎসবের পুরোটা শুষে নিতে হবে। এবছর তাদের থিমে জগজ্জননী মায়ের সঙ্গে জন্মদাত্রী মায়ের আরাধনা। সঙ্গে দেখানো হচ্ছে, মাটির সঙ্গে নারীর যোগ।
থিম ভাবনায় সোহম চট্টোপাধ্যায়। প্যাণ্ডেল জুড়ে বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। মাটির সড়া আর আয়না। সড়ায় ফুটে উঠেছে মাতৃমুখ। জন্মদাত্রী মায়ের। সঙ্গে কাগজের নকশা। গামছার কারিকুরি। আর বিশেষ কিছু উক্তি। সামনে জগজ্জননী মা।
এই পুজোর সঙ্গে মিশে আছে সামাজিক দায়বদ্ধতাও। প্রতি বছরই পুজো উপলক্ষ্যে পঞ্চাননতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পক্ষ থেকে দুঃস্থ শিশুদের জামাকাপড় তুলে দেওয়া হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। প্রায় ৩০০ শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে তারা। তুলে দিয়েছে পোশাক। পুজো কমিটির সম্পাদক ত্রিদিব শ্রীমানীর কথায়, ‘করোনা কাটিয়ে আবার মূলস্রোতে ফিরে আসুক সবাই, মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা’।