কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সামনে এল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা অনুযায়ী, মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বের ইউপিএ সরকারের আমলে এক দশকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ২৬ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অথচ নরেন্দ্র মোদীর আমলে গত আট বছরে শুধুমাত্র কংগ্রেসেরই ২৪ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যান্য দল জুড়লে সংখ্যাটা ১২১। উল্লেখযোগ্য দিক হল, এই শতাধিক নেতার মধ্যে বিজেপির মাত্র তিনজন।
বস্তুত, দেশের বিরোধী দলগুলি বরাবরই এই অভিযোগ তুলে থাকে যে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে থাকে মোদি সরকার। তাদের কথায়, এটা বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তেমন সক্রিয় নয় ইডি বা সিবিআই। এমন বহু নজির সাম্প্রতিককালে রয়েছে, বিরোধী দল ছেড়ে কোনও নেতা বিজেপিতে যোগ দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ ‘হালকা’ হয়ে গিয়েছে। তদন্ত থেকে তাদের দূরেই রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিরোধীদের কটাক্ষ, বিজেপি নেতারা যে ওয়াশিং মেশিনে শুদ্ধ! সর্বভারতীয় সংবাদপত্রটির সমীক্ষা রিপোর্টে এবার কার্যত সিলমোহর পড়ল বিরোধীদের অভিযোগেই।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, গত ১৮ বছরে কংগ্রেস আমলে বা বিজেপি জমানায় ২০০-র বেশি রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারি, তাঁদের বাড়িতে হানা, জেরা ইত্যাদি করেছে সিবিআই। তার মধ্যে ৮০ শতাংশই বিরোধী দলের। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে দশ বছরে (২০০৪-২০১৪) অন্তত ৭২ জন নেতা ছিলেন সিবিআইয়ের নজরে। তার মধ্যে ৪৩ জন (৬০ শতাংশ) বিরোধীপক্ষের। ২৯ জন ছিলেন কংগ্রেসের বা শরিক দলের।
