চীনের জমি দখলের চেষ্টার পরেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে লাদাখ নিয়ে নীরব রইলেন কেন মোদী? এবার এমনই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। সমরখন্দে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার পরে লোকসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, চীনের জমি দখলের চেষ্টা নিয়ে নীরব থাকাটা আত্মসমর্পণের সমান। তাঁর কথায়, ‘লাদাখে চীনের সেনা ভারতের জমির একাংশ কেড়ে নিতে চেয়েছে। তার পরে প্রথম শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন। সেখানে প্রারম্ভিক বক্তৃতায় এ নিয়ে নীরব থাকাটা আত্মসমর্পণের সমান। উনি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে বলেছেন। কিন্তু চীনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।’
লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশের পরে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতের জমিতে ঢোকেনি, কেউ ঢুকে বসেও নেই। পরে কেন্দ্রীয় সরকার সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে। না-হলে চীনের অবস্থানকেই সমর্থন করা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরে সীমান্তে জমি দখল নিয়ে মোদী কোনও দিনই চীনের নাম করে মুখ খোলেননি। সম্প্রতি লাদাখের একাংশে ভারত-চীনের সেনা মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এলেও অন্যত্র চীনের সেনা এত দিন ভারতের দখলে থাকা জমিতে বসে রয়েছে। উল্টে ভারতীয় সেনা নিজের আগের অবস্থান ছেড়ে পিছিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। গগৈ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হল ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, দেশের জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী মোদী এসসিও বৈঠকে সব দিক থেকেই ব্যর্থ।’