এবার কেন্দ্র ও ইডিকে একাধিক অভিযোগে বিঁধলেন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার তিনি বলেন, বিজেপি শুধুমাত্র আত্মসম্মান নষ্টের চেষ্টা করছে। মধ্যবিত্তের এটুকুই সম্বল। বলেন, জেলে যেতে ভয় পান না তিনি। কিন্তু আত্মসম্মান নষ্ট হলে ভয় পান। তারপর বলেন, অন্যদের মত তিনিও মধ্যবিত্ত। এদিন মিডিয়া ট্রায়াল নিয়েও বিস্ফোরক ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালতকে নব মহাকরণ দেওয়ার অনুষ্ঠানে মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফিরহাদ বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্মানহানির খেলা চলছে।” কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “তৃণমূলে থাকলেই অসাধু আর বিজেপিতে গেলেই সাধু, এই ওয়াশিং মেশিন খেলা বন্ধ হোক। বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে শুধু কেসের পর কেস চাপানো হচ্ছে। আর রায়ের আগেই করা হচ্ছে কেচ্ছা।” বলেন, ভারতে সংবিধান-আইন- বিচার ব্যবস্থা আছে। যা ইচ্ছে তাই এখানে করা যায় না। তবু তা করারই চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন ফিরহাদের নিশানায় ছিল সংবাদমাধ্যমও। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কাজের ক্ষতি হচ্ছে। বিজেপিকে ব্যঙ্গ করে নাম না নিয়েই তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্টি’। তাঁদের বেলায় কেন অভিযোগ থাকলেও ইডি- সিবিআই জেরা, মিডিয়া ট্রায়াল হয় না? কেন বিরোধী দলগুলির নেতা- মন্ত্রী- সমর্থক ও কর্মীদের ঘরেই রেড হয়? প্রশ্ন ফিরহাদের।
পাশাপাশি, এদিন মেয়র বলেন, এতসবের পরেও তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। আজীবন লড়াই করবেন। বলেন, তাঁর জেলে যেতে ভয় লাগে না। তাঁর ভয় আত্মসম্মান নষ্ট হওয়ার। এও বলেন, একটি কেসে তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ ছিল, তাই জেল গিয়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হননি। বিজেপি ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “তদন্তকারী সংস্থার কেউ না এসে সুকান্ত এলেও জেলে চলে যাব। তবু সম্মান হানি করবেন না। আপনিও কারও সন্তান। আপনারও স্ত্রী আছে। আমারও। আমিও মানুষ।” তিনি জানান, “গণতন্ত্রে আঘাত হানলে মানুষ ক্ষেপে যায়। নিমেষে সব কিছু শেষ হয়ে যায়।” তাঁর মুখে উঠে আসে ঊনিশশো সাতাত্তরের ইতিবৃত্তও। বলেন, “এভাবেই সারা দেশে ইন্দিরা গান্ধি হেরে গিয়েছিলেন। সব শেষে কিন্তু গণতন্ত্রই কথা বলবেন।” এদিন মহিলা নিরাপত্তা সম্পর্কে ফিরহাদ বলেন, এই রাজ্যে মহিলারা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত। সম্মানহানির চেষ্টা করলে তার শাস্তি হয়। রেহাই পায় না অপরাধী। “অন্য রাজ্যের মত অপরাধীদের সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয় না”, বিলকিস প্রসঙ্গ টেনে ফের বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি।