বুধবার দুপুরে আস্থাভোট বিহারে। তার ঠিক আগে চাকরির আশ্বাস দিয়ে জমি হাতানো মামলায় লালু ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য তথা দলের কোষাধক্ষ্য সুনীল সিংহ এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের ঠিকানায় বুধবার তল্লাশি হয়েছে।
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল।
সিবিআই তল্লাশি শুরু হতেই বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর কোনও অর্থ নেই। ওনারা ভাবছেন এতে ভয় পেয়ে বিধায়করা ওনাদের সমর্থন করবেন’। আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘এটাকে ইডি বা সিবিআই বা আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান বলা ভুল। এই তল্লাশি অভিযান বিজেপি চালাচ্ছে। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপি দ্বারা পরিচালিত হয়। বিজেপির লেখা স্ক্রিপ্টেই পরিচালিত হয়। আজ আস্থাভোট রয়েছে, আর কী হচ্ছে? এতে এখন আর আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই’।
উল্লেখ্য, এনডিএ জোট ভেঙে দুই সপ্তাহ আগেই আরজেডি-কংগ্রেস সহ ১১টি দলের সঙ্গে মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন করে জেডিইউ। আজ বিহারের বিধানসভায় আস্থাভোট হয়েছে। নীতীশ কুমারের দাবি, তাঁর কাছে ১৬৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।