নয় নয় করে ৪ বছর ধরে আটকে আছে হাওড়া পুরনিগমের ভোট। তাই এবার আইনি জট কাটাতে ওয়ার্ড পুর্নবিন্যাসে উদ্যোগী হল রাজ্য। পুজোর পরই হাওড়ার পুরভোট করতে চায় তারা। গত নভেম্বরেই রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরনিগমের ১৬ ওয়ার্ড নিয়ে নতুন করে বালি পুরসভা গঠন করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে হাওড়া পুর আইনকে সংশোধন করে ৬৬ ওয়ার্ডের বদলে ৫০ ওয়ার্ডের পুরনিগম গঠনের বিল গৃহীত হয়। রাজ্যপালের সম্মতির জন্য রাজভবনে পাঠানো পরই গোটা প্রক্রিয়াটাই থমকে যায়। কারণ রাজভবন-নবান্নের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই।
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজভবন ছাড়লেও এই জট খোলেনি। ফলে গত জানুয়ারিতে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটের সময় হাওড়া পুরনিগমের ভোট করা সম্ভব হয়নি। অথচ ২০১৮ সালেই এই পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরই রাজ্য সরকার আইনজ্ঞদের পরমার্শ মেনে হাওড়া পুরনিগমের ভোট করতে ওয়ার্ড পুর্নবিন্যাসের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫০ ওয়ার্ডের পুরসভাকে পুর্নবিন্যাস করে ৬৬ ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হবে। অন্তত এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
ফলে আইনমাফিক হাওড়া পুরনিগমের ভোট করতে আর কোনও আইনি জটিলতা থাকবে না। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হওয়া সংশোধনী বিল মূল্যহীন হয়ে পড়বে। নবান্ন সূত্রের খবর, পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলাশাসককে পুরনিগমের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই পুর ও নগর উন্নন দফতর হাওড়া পুরনিগমের আসন সংরক্ষণের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করবে। কমিশন এই কাজ শেষ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪৯ দিন অপেক্ষা করতে হবে ভোট করার জন্য। সেই হিসেবে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে ভোট করতে কোনও সমস্যা হবে না।