আরও শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপ। বাংলা-বাংলাদেশ-ওড়িশা উপকূলে ঘনীভূত গভীর নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার বিকালে সাগর দ্বীপ ও বালেশ্বরের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে অতি গভীর নিম্নচাপ। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ২৫০ কিমি, সাগর থেকে ২১০ কিমি দূরে গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দুপুর থেকে রাতের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলে। ৬ জেলায় অতি ভারী, ২ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিচে পর্যটকদের নামা বারণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দঃ ২৪ পরগণা এবং দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। এছাড়াও পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানেও বৃষ্টির দাপট বাড়বে।
১৯ ও ২০ অগস্ট অর্থাৎ শুক্র ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে গিয়েছেন, তাদের ফেরত আসতে বলা হয়েছে। দিঘা, মন্দারমনিতে পর্যটকদের সমুদ্রে নামকে বারণ করা হয়েছে। সৈকতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যতগুলি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, প্রত্যেকটিরই অভিমুখ ওড়িশা ঘেঁষা ছিল। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বরাতে বৃষ্টি সেভাবে জোটেনি। চলতি মরসুমে ৪৬ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আমন ধান চাষিরা। কারণ বৃষ্টির অভাবে আমন ধান চাষে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পাম্পে করে জমিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও, প্রকৃতির ওপর বেশি নির্ভরশীল চাষিরা। এবার নিম্নচাপে চাষিরা সেই আশার আলো দেখতে পাবেন বলেই ধারণা।