পাইপ ফেটে বিপত্তি গার্ডেনরিচ এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রইল পানীয় জলের পরিষেবা। সকাল থেকেই চুঁইয়ে চুঁইয়ে বের হচ্ছিল জল। কিন্তু, সন্ধ্যাতেই যে ঘনাবে এত বড় বিপদ তা ভাবতে পারেননি কেউই। এদিকে কলকাতার ভিতরে একাধিক বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে এবং জলধার প্রকল্পে এই পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহ হত বলে জানা যাচ্ছে। পুনরায় পরিষেবা চালু করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগ। মহেশতলা, যাদবপুর, গড়িয়া-সহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় জল সরবরাহ হয় এই পাম্পিং স্টেশন থেকে। বর্তমানে অন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামিকাল সকাল থেকে যাতে পুনরায় এই পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায় সে কারণে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন পুর কর্মীরা। তবে ঠিক কারণে এ বড় বিপত্তি সে বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
কিন্তু, এখনও গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচ জল পরিশোধন প্রকল্পের ভিতরেই নতুন ২৫ মিলিয়ন গেলনের জল প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছিল কিছুদিন আগেই। আগে গার্ডেনরিচ জল প্রকল্প থেকে ১৮৫ মিলিয়ান গ্যালন জল সরবরাহ করা হত। নতুন ২৫ মিলিয়ান গ্যালন জল প্রকল্প উদ্বোধনের কারণে পরিশ্রুত জল সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২১০ মিলিয়ন গ্যালন। জল-সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জলপ্রকল্প তৈরিতে মোট ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। গঙ্গা থেকে যে অপরিশ্রুত জল উত্তোলিত হয় জল প্রকল্পে আসছে, তা বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্রুত হওয়ার পর তা ৫ মিলিয়ান গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন রিজার্ভারে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে ৬টি মোটর পাম্প এর মাধ্যমে মূল পাইপ লাইনের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে পৌঁছে যাচ্ছে। এই জল প্রকল্পে ” স্পেস সেভ টেকনোলজি” ব্যবহার করা হয়েছে। যা অন্যান্য জল প্রকল্পের নেই বলেই খবর।