মোদী জমানায় দেশ জুড়ে আরএসএস-বিজেপির ধর্মীয় আগ্রাসন চলছে। আর তার মোকাবিলায় বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার কথা বলে গতি পাচ্ছে নতুন উদ্যোগ। নাগরিক আন্দোলনের মোড়কে ওই উদ্যোগে সরাসরি কোনও দল থাকছে না। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশিই শামিল হচ্ছেন নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার-সহ নানা আন্দোলনের কুশীলব এবংবিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সাম্প্রতিক অতীতে আরএসএস কী ভাবে তাদের প্রভাব বহু গুণ বাড়িয়ে তুলেছে এবং আরও এগোচ্ছে, তার বিশ্লেষণ করে এই প্রবণতার মোকাবিলায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সক্রিয়তা বাড়ানোর ডাক দিয়েছে সিপিআই। কমিউনিস্ট পার্টির ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত বহুত্ববাদী আন্দোলনের মঞ্চ ‘প্লুরালিস্ট ইন্ডিয়া’। নয়াদিল্লীতে সদর দফতর খুলে দেশের নানা জায়গায় রাউন্ড টেবল কনফারেন্স করে বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার বার্তা প্রচার করছে তারা।
এই মঞ্চের যুক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা বোঝানো হয়। কিন্তু অসহিষ্ণুতা অন্য ভাষা, সংস্কৃতি বা আরও অনেক কিছুর প্রতিই হতে পারে। তাদের মতে, বহুত্ববাদ এবং সহনশীলতাই ভারতের আসলশক্তি। যে পরম্পরা ভাঙার চেষ্টা করছে আরএসএস-বিজেপি। মঞ্চের উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, দলের ছাতায় কোনও কর্মসূচির আয়োজন হলে সেখানে শামিল হতে অন্য কোনও দলের অসুবিধা থাকতে পারে, ব্যক্তিদের সমস্যা হতে পারে। এমন মঞ্চের তরফে সম্মেলন হলে সেখানে অংশগ্রহণ করতে তেমন সমস্যা থাকার কথা নয়।