পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমল কংগ্রেস। মাত্র ক’দিন আগেই মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ আগেই হারিয়েছেন তিনি। এবার বিধানসভার কোনও কমিটিতেও রাখা হবে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি বিধানসভার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভায় ২৬টি স্ট্যান্ডিং ও ১৫টি অ্যাসেম্বলি কমিটি রয়েছে। ২৯৪ জন সদস্যকে এই মোট ৪১টি কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রীরা কোনও কমিটিতে থাকেন না। শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হয় এক একটি কমিটি। ১৫ দিন অন্তর এই সব কমিটির বৈঠকে যোগ দিলে ভাতা পান বিধায়করা। একজন বিধায়ক সর্ব্বোচ্চ তিনটি ও সর্বনিন্ম দু’টি কমিটির সদস্য হয়ে থাকেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন আটজন বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন। আর পার্থ-সহ পাঁচজন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গিয়েছেন। পান্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ, ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবীর, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী বাদ গিয়েছেন মন্ত্রিসভা থেকে।
পাশাপাশি, মন্ত্রী হয়েছেন উদয়ন গুহ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, সত্যজিৎ বর্মণ, প্রদীপ মজুমদার, বিপ্লব রায় চৌধুরী, তাজমুল হোসেন ও পার্থ ভোমিক। এই আটজন বিধায়ক মন্ত্রী হওয়ায় অ্যাসেম্বলি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে স্বাভাবিক কারণেই সরে গিয়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের ছেড়ে যাওয়া কমিটিগুলিতেই জায়গা দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রিত্ব হারানো বিধায়কদের। ওই কমিটিগুলিতে পরেশ-সৌমেন-হুমায়ুনরা জায়গা পেলেও, জায়গা হবে না পার্থের। কমিটিতে না রাখার পাশাপাশি, বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্বাক্ষরকারীর দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে পার্থকে। এতদিন ফিরহাদ হাকিম ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করায়, এই দায়িত্ব এসেছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।