কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে আমেঠিতে পথে নামলেন কংগ্রেস কর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই আমেঠির রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেসের সমর্থকেরা। আমেঠির বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। অবরোধ তুলতে গেলে কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তিও হয়।
কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, স্মৃতি ইরানির নির্দেশেই পুলিস শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কংগ্রেসের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। পুলিসের লাঠিতে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় স্মৃতি ইরানিকে ক্ষমা চাইতে হবে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও স্মৃতি ইরানি। বৃহস্পতিবার লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই অধীরের মন্তব্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধীর উদ্দেশে বলেন, আপনি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে থাকা একজন মহিলাকে অপমান করার অনুমতি দিয়েছেন দলীয় সাংসদকে। আপনাকে ক্ষমা চাইতেই হবে। এরপর সোনিয়া এক বিজেপি সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁকে বাধা দেন স্মৃতি ইরানি। সোনিয়া তাঁকে বেশ রাগত স্বরেই বলেন, আপনি আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। তারপরই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়।
