বাঙালির তেরো পার্বণের সেরা পার্বণ শারদোৎসবের আর বেশিদিন বাকি নেই। মাস দুয়েক পরেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই দিল্লীর পুজো কমিটিগুলোর কপালে ভাঁজ। গত দু’বছর করোনার কারণে কোনও মতে সারতে হয়েছিল পুজো, অনেকে পুজো কমিটিগুলো পুরোপুরি বন্ধ রেখেছিল পুজো। এবার তারা নতুন উদ্যোমে প্রস্তুতি শুরু করেছিল। কিন্তু এবার দিল্লীর বাঙালিদের দুর্গাপুজোয় হস্তক্ষেপ করতে চলেছে সরকার।
দিল্লী ডেভলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ) সাম্প্রতিক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ডিডিএ পার্কে পুজো করা যাবে না। পুজো করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ জমা রাখতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। পুজো চলাকালীন ডিডিএ-র পক্ষ থেকে চালানো হবে কড়া নজরদারি। নিয়ম লঙ্ঘন হলে স্বাভাবিকভাবেই সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত মিলবে না। পাশাপাশি শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লীর বহু পুজোর আয়োজন হয় ডিডিএ পার্কে। করোনাকালের পর প্রায় স্বাভাবিক হতে চলা শারদোৎসবের আয়োজনে ব্যস্ত প্রবাসী বাঙালিদের কাছে এটি বড় ধাক্কা। কারণ এমন অনেক পুজো কমিটি আছে, কোভিড কালের পর যাদের পুজোর সার্বিক বাজেটই ১০ লক্ষ টাকা হয় না। এই অবস্থায় ১০ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট করতে হলে অনেক পুজো কমিটিকেই পুজো একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
‘পুর্বাঞ্চল বঙ্গীয় সমিতি’র আওতায় রয়েছে পূর্ব দিল্লীর ৩৮টি পুজো কমিটি। গোটা বিষয়টি পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই পূর্বাঞ্চল বঙ্গীয় সমিতির পক্ষ থেকে দিল্লী ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস-চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় ভোগ রান্না করতেই হবে। সেটা কীভাবে বন্ধ করব? তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে একাধিক অনুষ্ঠান হয়। ডিডিএর নতুন নির্দেশিকায় তার সবই বন্ধ করে দিতে হবে। এ কি আদৌ সম্ভব?’