‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘তানাশাহ’-এর মতো এমন অনেক শব্দ বা শব্দ বন্ধ আছে যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন বিরোধীরা। তাই সংসদ ভবনে যাতে এইসব শব্দ ব্যবহার করে বিরোধী সাংসদরা সরকারকে আক্রমণ করতে না পারেন, সেজন্য এবার তাদের মুখে লাগাম টানার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বুধবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে প্রকাশিত অসংসদীয় শব্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে ‘লজ্জিত’, ‘অপব্যবহৃত, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘নাটক’, ‘ভণ্ডামি’র মত শব্দ। এছাড়াও ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘তানাশাহ’, ‘তানাশাহী’, ‘জয়চাঁদ’-এর মত শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি ‘জুমলাবাজি’র মত শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভাবনা চিন্তা করতে হবে সাংসদদের। এটা স্পষ্ট যে ১৮ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের সাংসদদের মুখে লাগাম টানতেই এ হেন বন্দোবস্ত।
মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে তোপ দেগেছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আপনি যদি আপনার সমালোচনায় সৃজনশীল হতে না পারেন তবে সংসদের কী লাভ? জুমলাজীবীদের জুমলবাজ না বলে কী বলব? শব্দ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয়!’ অন্যদিকে, মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটে লিখেছেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে অধিবেশন শুরু হবে। সাংসদের ওপর গ্যাগ অর্ডার জারি হয়েছে। এখন, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমাদের বেশ কয়েকটি শব্দগুলি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, যা লজ্জার। শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে অপব্যবহার করেছে। বিশ্বাসঘাতক, দুর্নীতিগ্রস্ত, কপটতা, অযোগ্য। কিন্তু আমি এই সব শব্দ ব্যবহার করবই। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে আমাকে সাসপেন্ড করুন।’