মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ানো নিয়ে যতটা দুঃখ পেয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি দুঃখ রয়েছে আপনজনদের বিশ্বাসঘাতকতায়। বিগত দুই সপ্তাহে আমূল পরিবর্তন এসেছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মানচিত্রে। শিবসেনারঅন্দরে বিক্ষোভ শুরু করেন একনাথ শিন্ডে। তার হাত ধরেই দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কমপক্ষে ৪০ জন বিধায়ক। এক সপ্তাহ ধরে সুরাট, গুয়াহাটি, গোয়ায় ঠিকানা বদলেছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। সেই ফাঁকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আস্থাভোটের প্রস্তাব দেন একনাথ শিন্ডে। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন একনাথ শিন্ডে। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে একনাথ শিন্ডের এই বিশ্বাসঘাতকতা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘যেখানে এনসিপি ও কংগ্রেস আমাদের পাশে রইল, সেখানেই একনাথ শিন্ডে, যাকে আমি দলের যাবতীয় দায়িত্ব দিয়েছিলাম, সেই পিঠে ছুরি মেরেছে। এই সমস্ত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের দেখে সত্যিই কষ্ট হয়। যে শিবসেনার কর্মী-সমর্থকদের জন্য তারা ভোটে জিতেছিলেন, সবকিছু পাওয়ার পর তাদের ছেড়েই চলে গিয়েছে’।
গত সোমবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট হয়েছে। সেই ভোটেও হেরে গিয়েছে শিবসেনা। একদিকে একনাথ শিন্ডের শিবির ১৬৪ ভোট পায়, সেখানেই উদ্ধব ঠাকরের শিবিরের পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৯৯টি। একাধিক কংগ্রেস ও এনসিপি নেতারা ভোট দেননি, কেউ আবার ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পর বিধানসভায় এসে পৌঁছন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে বিজেপি-একনাথ শিন্ডে শিবির।