করোনাতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। ফিরেছে টোকেনও। কিন্তু মাঝেমধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় মেট্রো যাত্রীদের। কখনও সিগন্যালিংয়ের জন্য মাঝপথে আটকে যায় মেট্রো তো কখনও আগুনের স্ফূলিঙ্গে তৈরি হয় আতঙ্ক। গন্তব্যে পৌঁছতেও দেরি হয়ে যায়। তেমনই আরও এক ঘটনা ঘটল বুধবারের ব্যস্ত শহরে। কেউ অফিসে কেউ কলেজে বা অনান্য কাজে বেরচ্ছেন সবাই। মেট্রো তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং নির্ঝঞ্ঝাট পথ। সেই মেট্রো নিয়ে কলকাতায় ঘটে থাকে বিভিন্ন কাণ্ড। আবারও কলকাতায় মেট্রো বিভ্রাট। কামরার একটি দরজা খোলা রেখেই গন্তব্যের দিকে ছুটল মেট্রো রেল। অফিস টাইমে ভিড়ের মধ্যে এহেন ঘটনায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। তবে নিরাপদেই স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছেছেন যাত্রীরা। আজ, বুধবার সকাল ৯.২৯টা নাগাদ কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী মেট্রোয় এই ঘটনাটি ঘটে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, কুদঘাট থেকে কালীঘাট পর্যন্ত সামনের দিকের একটি কামরার একটি দরজা খোলা ছিল। অফিস টাইমে সেই সময় ভালই ভিড় ছিল মেট্রোয়। স্বাভাবিক ভাবেই তাই যাত্রীদের লাইনে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অনেকেই দরজা খোলা অবস্থায় মেট্রো চলতে দেখে আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। এমন ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে আরপিএফ। ছুটে আসেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররাও। তাঁরা ওই খোলা দরজাটির সামনে গার্ড করে দাঁড়িয়ে পড়েন। যাত্রীরা যাতে ভুলবশত সেদিকে না যায়, তা নিশ্চিত করেন তাঁরা। তবে কর্মব্যস্ত দিনে ভিড় থাকায় বেশ সমস্যাতেই পড়তে হয় তাঁদের। কালীঘাট স্টেশনে পৌঁছনোর পর দরজাটি বন্ধ করা সম্ভব হয়। তারপর নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে পৌঁছায় মেট্রো রেলটি। কিন্তু এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দরজা বন্ধ হতে চাইছিল না।