দীর্ঘদিন ধরে ভারত-নেপাল সরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে যে জল্পনা কল্পনা চলছিল। অবশেষে তা মিটল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। বুধবার আনু্ষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল ভারত-নেপাল বাস পরিষেবার৷ এবার সড়কপথেই শিলিগুড়ি থেকে পৌঁছান যাবে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে৷ বুধবার শিলিগুড়িতে এই নয়া বাস পরিষেবার শুভ উদ্বোধন করলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, ‘‘পারমিট দেওয়ার পরও অনেকদিন আটকে ছিল ভারত-নেপাল বাস পরিষেবা৷ ফুলবাড়ি চেক পোস্টও হয়ে গিয়ে্ছে৷ সেখান থেকে ভিসার আদানপ্রদানও করা সম্ভব৷ ফলে এখন থেকে নিয়মিত ভারত-নেপালের বাস পরিষেবা অব্যাহত থাকবে শিলিগুড়ি থেকে৷’’ পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে এবং নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে দু’বছর আগেই ভারত-নেপাল বাস পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু দেশব্যাপী কোভিড পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে সেই পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি৷ ফিরহাদ জানান, নেপালের এনবিএসটির উদ্যোগে শিলিগুড়ি-নেপাল বাস সার্ভিস শুরু হল৷
ইতিমধ্যে কলকাতা-ঢাকা বাস সার্ভিস চালু হয়ে গিয়েছে৷ কিছুদিনের মধ্যে এখান থেকেও শিলিগুড়ি-বাংলাদেশ বাস পরিষেবাও চালু হয়ে যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে দিতে৷ যত বেশি মানুষের আদান প্রদান হবে ততই অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটবে৷ যেহেতু উত্তরবঙ্গ পর্যটন শিল্পের বড় জায়গা৷ ইতিমধ্যে মু্খ্যমন্ত্রী চা বাগানে হোম স্টে বা টি ট্যুরিজম চালু করেছেন৷ টি ট্যুরিজম চালু হওয়ায় সারা ভারত থেকে মানুষ উত্তরবঙ্গে আসছেন৷ এটা অর্থনৈতিক বিপ্লব৷ উদয়পুর, মুম্বই থেকে মানুষ আসছেন৷ আমরা তো চাইব বাংলাদেশ, নেপালের লোকও এখানে আসুক৷ সেই জন্যই ভুটান, সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে এবার সড়ক পথে বাস পরিষেবা চালু করা হল৷ ইতিমধ্যে ফুলবাড়ি চেক পোস্টও হয়ে গিয়ে্ছে৷ সেখান থেকে ভিসার আদানপ্রদানও করা সম্ভব৷ ফলে যাত্রী বাড়লে আগামীদিনে বাড়ানো হবে বাসের সংখ্যাও৷