পেট্রোপণ্য, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ছিলই। মোদীর আমলে এবার পোল্ট্রির ডিমের দাম নিয়েও প্রবল অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। ক্রমশ বাড়ছে দাম। কোথাও কোথাও এক জোড়া ডিমের মূল্য ১৪ টাকায় পৌঁছে গেছে। ডিম খাওয়াই এখন আম জনতার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগেও ১০ বা ১১ টাকায় এক জোড়া ডিম মিলত। কিন্তু হঠাৎ করেই তা ১৪ টাকা হয়ে গেল। ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মাংস ও ডিমের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হল উৎপাদন খরচের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। পশুখাদ্যের দাম আকাশছোঁয়া। ভুট্টা দানা থেকে অন্যান্য খাবার মহার্ঘে পরিণত হয়েছে। খইলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পোল্ট্রির প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে।
এপ্রসঙ্গে পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের সাফ কথা এই পরিস্থিতিতে, সস্তায় ডিম বিক্রি করা অসম্ভব। তাদের অভিযোগ, মোদী সরকার পশুখাদ্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসাকেই সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার। যদিও মোদী সরকার এবিষয়ে স্পিকটি নট। ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটির এ রাজ্যের চেয়ারম্যান মদনমোহন মাইতির কথায়, মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া কোন নতুন বিষয় নয়। কিন্তু এখন পোল্ট্রি ফার্মগুলির অবস্থা শোচনীয়, রীতিমতো দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা। তারা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে বিগত দুবছর ধরে চিঠি লিখে চলেছে। কিন্তু মেলেনি কোনো সুরাহা। এই পরিস্থিতিতে পশুখাদ্যের দাম না কমলে, এই সমস্যা চলতেই থাকবে এবং ডিমের দামও বাড়তেই থাকবে। এমনটাই অনুমান করছেন তাঁরা।