ফের বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, দেশে শান্তি বজায় রাখতে নুপূর শর্মাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। এর আগেও একাধিকবার এ দাবি তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানেও এই ইস্যুতে ফের সরব তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন, “আগুন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়।” নবী বিতর্কে নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারির দাবিতে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। দিল্লী, উত্তরপ্রদেশের মতোই বাংলাতেও বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিচ্ছিল। নুপূরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন শহরে দায়ের করা হয়েছে মামলাও। কিন্তু প্রতিবারই থানার তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তাঁকে। অথচ এর জেরে হিংসা তীব্রতর হয়েছে। নুপূর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করায় সম্প্রতি রাজস্থানের উদয়পুরে এক দর্জির মুণ্ডচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। যে ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।
উক্ত ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-কে। প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটে অমরাবতীতেও। লাগাতার অশান্তি সত্ত্বেও তা থামানোর চেষ্টা করছে না মোদী সরকার। অভিযোগ উঠেছে এমনই। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে নুপূর শর্মাকে। শীর্ষ আদালতে পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নুপূরের মন্তব্যের জন্যই দেশে এমন হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমনকী উদয়পুরের নৃশংস ঘটনার নেপথ্যেও দায়ী নুপূর শর্মার উসকানিমূলক মন্তব্য। এর জন্য ক্ষমা চাইতেও দেরি করেছেন তিনি। তাঁর উচিত প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া। আজ মমতা বলেন, “গোটা বিষয়টা আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র। হিংসা ছড়ানো, বিভেদ তৈরি করার মতলব। আগুন নিয়ে খেলা করা ঠিক নয়। আমরা (রাজনৈতিক দল) হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ- সকলের জন্য”, সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভেদের রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন, এও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন তিনি।