ফের সমালোচনা ও বিক্ষোভের মুখে মোদী সরকার। দেশে কোভিড অতিমারীর পরবর্তী সময়ে একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে পর্যটন শিল্প। কিন্তু তাতেও আঘাত এল পণ্য পরিষেবা করের। হোটেলে ১০০০ টাকার কম ঘরের ভাড়ার উপর চড়ল ১২ শতাংশ জিএসটি। ওই কর পর্যটকদেরই মেটাতে হবে। মোদী সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ধাক্কা খাবে পর্যটন ব্যবসা, এমনটাই আঁচ করছে শিল্পমহল। চরম অসন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। পর্যটন সংস্থাগুলোর একাধিক সংগঠন এই জিএসটির বিষয়ে সরকারকে ফের একবার বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানাতে চলেছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বাংলা-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের পর্যটন দফতর এই সমস্যা উপলব্ধি করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দুর্ঘটনা, যেকোন বিপদেই পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটন শিল্পে নিযুক্তরা পর্যটকদের পাশে থাকে। তাই পর্যটন সংগঠনগুলো জিএসটির বিষয়ে পর্যটকদের পাশে চাইছেন। ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জনৈক কর্তার মতে, বেড়াতে গিয়ে যারা ১০০০ টাকার কম ভাড়ার হোটেলে থাকেন, তারা সাধারণত পর্যটনের জন্য খুব বেশি টাকা খরচ করেন না। সাধারণ মানুষ মূলত, সীমিত টাকার মধ্যেই নিজেদের মতো করে ভ্রমণ উপভোগ করেন। হোটেল ভাড়ায় জিএসটির কোপ পড়লে, বিপুল সংখ্যক পর্যটক বেড়ানোর পরিকল্পনাই বাতিল করে দেবেন। এর ফলে প্রবল ক্ষতির কবলে পড়বে পর্যটন শিল্পের। সমস্যায় পড়বেন হোটেল ব্যবসায়ীরাও।