পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গিয়েছেন’। ৯১ বছর বয়সে সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে জীবনাবসান হয় এই কিংবদন্তি পরিচালকের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর’।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে। তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র , বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবী রাখে। তিনি পদ্মশ্রী, জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি’।
গত ১৪ জুন কিডনির সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিংবদন্তি এই পরিচালক। চিকিৎসায় প্রথমে সাড়া দিলেও পরের দিকে ক্রমশ অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। জরুরিভিত্তিতে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর চিকিৎসায় একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। সোমবার চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনাবসান হয় তরুণ মজুমদারের। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য পাঁচটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তরুণ মজুমদার। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে সাতটি বিএফজিএ এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।