একসঙ্গে বহু ছবিই দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তাঁরা। রিল লাইফে পরিচালক-অভিনেত্রী জুটি হওয়ার পাশাপাশি রিয়েল লাইফেও তাঁরা ছিলেন জুটি। তাই তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। তরুণবাবুর স্ত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁর কাছে এই শোক যে ব্যক্তিগত, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, তরুণ মজুমদারের অবস্থা সঙ্কটজনক, এই খবর কানে পৌঁছানোর পর থেকেই ঠায় ঠাকুরঘরে বসে। প্রার্থনা করছিলেন, ‘ঘরের মানুষটা যেন ঘরে ফেরে’। তবে বিধির বিধান। ‘সংসার সীমান্তে’র হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে আজ ইহজগৎ ত্যাগ করে ‘পলাতক’ তরুণ মজুমদার। যদিও বহুদিন দেখা নেই স্বামী-স্ত্রীর। কথাও নেই। তবে স্বামীর সঙ্গে অতীত জীবনের অজস্র স্মৃতি মনে করে গলা বুজে আসছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর।
উল্লেখ্য, তরুণ মজুমদারকে দেখতে এসএসকেএম-ও ছুটে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। তবে সিসিইউতে থাকায় দর্শন হয়নি। এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে তরুণ জায়া বলেন, ‘কিছুদিন আগেও তো লোকেশন দেখতে ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন, কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল?’ স্বামীর মৃত্যুর খবরে চোখের জল বাধ মানছে না অভিনেত্রীর। তাঁর কথায়, ‘হালে আমরা বাইরে বাইরেই থাকতাম। উনি চেন্নাই, বেঙ্গালুরু। আর আমি কখনও দিল্লী বা মেদিনীপুর। খুব বেশি দেখা সাক্ষাৎ হত না’।