আমাদের উপর বিদ্বেষ আমাদের ভালবাসার মুম্বইয়ের উপর তুলবেন না। এবার মুম্বইয়ের মেট্রো কারশেড প্রকল্প নিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই শিন্ডে সরকারকে বিঁধলেন আদিত্য ঠাকরে। বিতর্কিত মেট্রো কারশেড প্রকল্প নিয়ে রবিবার উদ্ধবের সুরেই উদ্ধব পুত্র বলেন, তাঁদের উপর থাকা রাগ যেন মুম্বইয়ের উপর দেখানো না হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই মুম্বই কারশেড প্রকল্প ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। তারপরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে অনুরোধ করেছিলেন যাতে এই পদক্ষেপ না করা হয়।
টুইটে আদিত্য লেখেন, ‘আমি নয়া সরকারকে তাদের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের উপর বিদ্বেষ আমাদের ভালবাসার মুম্বইয়ের উপর তুলবেন না।’ তিনি জানিয়েছেন, আরে ফরেস্ট মুম্বইয়ের ফুসফুস। এটি শুধুমাত্র ২,৭০০ গাছকেই গাছকে সুরক্ষা প্রদান করে না। মুম্বইয়ের জৈববৈচিত্রকে রক্ষা করে। কারশেড এলাকায় প্রতিদিন চিতাবাঘ চলাফেরা করতে দেখা যায়। সেখানে আরও ছোটো ছোটো বিভিন্ন প্রজাতির জীব দেখা যায়। ৮০০ একরের বেশি জঙ্গল ঘোষণা করতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি আরও বলেন যে, এই প্রকল্প মুম্বইয়ের আরে ফরেস্টকে ধ্বংস করে দেয়। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের বিরুদ্ধে গিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে এই বিষয়ে আদিত্য ঠাকরের পাশে রয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরের ছেলে অমিত ঠাকরে। তিনি শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিন্ডে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘বেদনাদায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নয়া সরকারের এই সিদ্ধান্ত আমার এবং অসংখ্য পরিবেশপ্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এ রাজ্যের যুবরা অনেক সংগ্রাম করেছে। কিছুজনকে জেলেও ভরে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের এই কারশেড প্রকল্প নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ২০১৯ সালে মুম্বই মেট্রো রেল কর্পোরেশন বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের থেকে আরে কলোনিতে গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছিল। সেই সময় পরিবেশপ্রেমীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিএমসি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার পর সেই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করে। সেই বছর বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ আগাড়ি সরকারের জোট সরকারে ক্ষমতায় আসে। আর জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই উদ্ধব এই কারশেড প্রকল্প আরে কলোনি থেকে কাঞ্জুমার্গে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।