শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহের জেরে আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর গত ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর গদি হারালেও দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নয়া স্পিকার নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত পড়েছে উদ্ধবের। তাঁর নিযুক্ত চিফ হুইপ ও পরিষদীয় দলনেতাকে সরিয়ে দেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন উদ্ধব ঠাকরে।
এদিকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব আরও একটি ধাক্কা খেয়েছেন। আস্থা ভোটে আচমকাই উদ্ধবপন্থী বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার একনাথকে সমর্থন জানান। বিধানসভায় ফ্লোর টেস্টের আগেই তিনি একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেন। বাঙ্গারের শিবির ত্যাগের সাথেই একনাথ শিন্ডের দলে এখন মোট বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে ৪০ হয়ে যায়। আর উদ্ধবের সমর্থনকারী বিধায়কের সংখ্যা কমে ১৫। উল্লেখ্য, বিধানসভার অন্দরে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে আগে থেকেই চাপে ছিলেন উদ্ধব। তাঁর নিযুক্ত চিফ হুইপ সুনীল প্রভু এবং পরিষদীয় দলনেতা অজয় চৌধুরীকে সরিয়ে দেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। রাহুলের নির্দেশের পর বিধানসভায় শিবসেনার চিফ হুইপ হন একনাথ শিবিরের বিধায়ক ভোগাবলে। এদিকে শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা পদে ফেরেন একনাথ শিন্ডে। আর এদিন আস্থা ভোটেও ১৬৪-৯৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন একনাথ।