ফের গৃহযুদ্ধের আঁচ ছড়াল গেরুয়াশিবিরে। এবার আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিজেপির মহিলা মোর্চার অন্দরে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী-সহ কয়েকজন নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের মহিলা মোর্চারই সাধারণ সম্পাদিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, ব্যক্তিগত বিষয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপে আলোচনা ও হেনস্তার অভিযোগ করেছেন তিনি। অবিলম্বে সমস্যা সমাধান ও তনুজা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠালেন অভিযোগকারী অদিতি মৈত্র। আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। তনুজা চক্রবর্তী-সহ বিজেপি মহিলা মোর্চার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বহুদিন ধরেই সমস্যা ছিল অভিযোগকারী অদিতি মৈত্রের। ১৯ এপ্রিল এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা অদিতি।
পাশাপাশি, তনুজা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানসিক প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সেই ঘটনার পর প্রায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এরপরই ফের তনুজা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠালেন অদিতি। দ্বিতীয় চিঠিতে অদিতি লিখেছেন, “তনুজা চক্রবর্তীরা ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার নিয়ে প্রচার চালিয়ে সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। সংগঠনের কাজ থেকে আগেই আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। এবার সম্মান নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। এভাবে কাজ করা অসম্ভব। এবার আমি ও আমার পরিবার তনুজা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছি।” এছাড়া, তনুজাদেবী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন অদিতি। তনুজাকে পদ থেকে অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। দল যাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করে, সেই আবেদনই বারবার করেছেন অদিতি মৈত্র। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনার যথেষ্ট চাপে বঙ্গ বিজেপি। যেখানে প্রতিনিয়ত গোষ্ঠীকোন্দলের ক্ষত দলকে জর্জরিত করে তুলেছে, সেখানে এই ঘটনা পদ্ম-নেতৃত্বের মাথাব্যথা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।