এ আর নতুন কী? যোগী আদিত্যনাদের উত্তরপ্রদেশের এ প্রায় রোজের ঘটনা হয়ে উঠেছে। নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ – উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শাসনকালে বারবারই সামনে এসেছে মহিলাদের অসহায়ত্ব। মহিলাদের ওপর অপরাধ অব্যাহত সে রাজ্যে। এবার ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। গত জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বছর চব্বিশের ওই তরুণী। নির্যাতনের জেরে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাহারানপুরের এই ঘটনার কথা শনিবার প্রকাশ্যে আসে। পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় জানুয়ারি মাসে। সেসময় বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। সেই সুযোগে এক যুবক বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি গোটা ঘটনা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দীও করে রাখে ওই যুবক।
পাশাপাশি, এই নিয়ে কোনও অভিযোগ জানালে খুনের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত যুবক। এমনকী তাঁর পরিবারেরও ক্ষতি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, দেওবন্দ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতিতার দাবি, এরপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। বাড়ি খালি থাকার সুযোগে মাঝেমাঝেই হানা দিতে থাকে ওই যুবক। কিছুদিন পর তাঁকে অপহরণ করে দেওবন্দের একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়। ওই যুবকের সঙ্গে ২৫-৩০ বছর বয়সী আরও তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারের জেরে একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। বিষয়টি জানার পর ওই চার যুবক নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ায়। ২৫শে জুন বন্দীদশা থেকে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে ওই তরুণী। কিন্তু পরদিন ওই যুবকরা সেখানেও হানা দিয়ে তাঁকে মারধর করে। যার ফলে যুবতীয় গর্ভপাত হয়ে যায় বলেও পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু তোলপাড়। চরম নিন্দার মুখে মোদী সরকার।