একটানা বৃষ্টিতে উত্তর ভাসলেও খটখট করছে দক্ষিণবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গে বলতে গেলে বৃষ্টি তেমন হয়ইনি। গুমোট গরমে কবে স্বস্তির বৃষ্টি নামেবে সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গবাসী। ১ জুন থেকে ১ জুলাই অবধি দক্ষিণে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৪৮ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, নিম্নচাপের মেঘে কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে দক্ষিণে, তবে জুলাই মাসটাও তেমন আশা জাগাবে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। ভরা বর্ষার মাস জুলাই। কিন্তু এ মাসেও চাতকের মতো প্রতীক্ষাই সার হতে পারে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি কিছুটা বেশি হলেও বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি ঘাটতি সেই থেকেই যাবে। হাল্কা, মাঝারি, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ঠিক মন ভরছে না। বর্ষা চলে এলেও একটানা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই ভ্যাপসা গরমও কাটছে না। দিনের বেলায় কটকটে রোদ, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকছে। আবার বেলার দিকে কখনও আকাশ মেঘলা করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। ওই পর্যন্তই।
তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আজ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনের মতই এদিনও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম দক্ষিণে। তবে উত্তরবঙ্গে চলবে অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। গতকাল দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় দু’এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। রোদের দাপট নেই। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি এখনই কাটার কোন সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণে ভারী বৃষ্টি না হলেও উত্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে চলবে ভারী বর্ষণ।