এখনও কাটেনি জট। ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে টালবাহানা চলছেই। পাপালি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা ছাড়তে চান। অন্য রাজ্য থেকে তাঁর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এবার গুজরাত এবং বদোদরা ক্রিকেট সংস্থার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এখনও পর্যন্ত তাদের তরফে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বাংলার উইকেটরক্ষককে। ঋদ্ধিমান দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার তরফে প্রস্তাব রয়েছে। আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলেন ঋদ্ধি। সেই রাজ্যের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জল্পনা উঠছিল নানান মহলে। কিন্তু সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা নস্যাৎ করা দিয়েছেন গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার কর্তা অনিল প্যাটেল। “গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে ঋদ্ধিমান সাহাকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমাদের দলে হেট প্যাটেলের মতো তরুণ উইকেটরক্ষক রয়েছে। ও খুব ভাল খেলছে। আমরা কেন শুধু শুধু তার কেরিয়ার নষ্ট করব?” সাফ জানিয়েছেন অনিল।
প্রসঙ্গত, সিএবির এক কর্তা ঋদ্ধির বাংলার ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাতেই আঘাত পান লা ঋদ্ধি। তিনি চেয়েছিলেন সিএবি-র সেই কর্তা ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। এই মুহূর্তে সিএবির সেই কর্তা ইংল্যান্ডে ভারতীয় দলের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক। ভারতীয় দল থেকেও ঋদ্ধিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে যে আর দলে ফেরানো হবে না তা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “আমরা জানি ভারতীয় দল থেকে বাদ যাওয়ায় ঋদ্ধিমানের খারাপ লেগেছে। কিন্তু বার বার যে ভাবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছিলেন সেটা নীতিবিরোধী।”
প্রসঙ্গত, পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে বদোদরা ক্রিকেট সংস্থার সচিব অজিত লেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি এই মুহূর্তে আমেরিকায় রয়েছেন। ঋদ্ধিকে প্রস্তাব দেওয়ার মতো কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। অজিত বলেন, “গত এক মাস ধরে আমি ভারতের নেই। আমরা অম্বাতি রায়ডুকে নিয়ে ভাবছি। আমার কাছে যা খবর রয়েছে তাতে ঋদ্ধিকে নিয়ে কোনও কথা হয়নি।” এছাড়াও শোনা যাচ্ছিল ঋদ্ধিমানকে খেলতে দেখা যেতে পারে ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার হয়ে। কিন্তু সেই দলের থেকে ঋদ্ধি যে পরিমাণ অর্থ চেয়েছেন তা নাকি দিতে রাজি নয় ত্রিপুরা। পিটিআইয়ের তরফে ত্রিপুরার সচিব কিশোর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার থেকে ছাড়পত্র চেয়েছেন ঋদ্ধি। শিলিগুড়ি থেকে ফিরে ছাড়পত্র নিতে সিএবি দফতরে যেতে পারেন তিনি।